রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভাতের পাতিলে প্রস্রাব করায় আরাফাত নামে ১৮ মাসের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজের ৩ দিন পর সোমবার (১০ মে) দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের শিশুপুত্র আরাফাত শুক্রবার (০৭ মে) সকাল ৯টার দিকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন দৌলতপুর থানায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। সোমবার প্রতিবেশী সফের মালির বাড়ির রান্নাঘর থেকে শিশুটির লাশের দুর্গন্ধ ছড়ালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে সফের মালির স্ত্রী কোহিনুর বেগম রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ তুলে পুনরায় মাটি খুঁড়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলায় কোহিনুর পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কোহিনুর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ওইদিন (শুক্রবার) কোহিনুর ভাত রান্না করে রান্নাঘরে পাতিল রেখে দেন। এ সময় পাশের বাড়ির শিশু আরাফাত ভাতের পাতিলে প্রস্রাব করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোহিনুর শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এক ধাক্কাতেই শিশুটি ছিটকে নিচে পড়ে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যায়। পরে তড়িঘড়ি করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর বেগম পুলিশকে এমন তথ্য জানালেও শিশু আরাফাত হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না আরও জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসবে বলে জানান ওসি (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।